বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ আনলো স্টাডি গ্রুপ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১০ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১০ PM
বিশ্বব্যাপী ৫০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারত্বে কাজ করা ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন স্পেশালিষ্ট স্টাডি গ্রুপ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সফরে আসছেন। এ সফরের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাজ্যের নিত্যনতুন শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরিচিতি লাভ ও গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।
এছাড়া, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে ইউকে-তে উচ্চশিক্ষার কার্যক্রম ব্যবস্থা কিভাবে ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে সে ব্যাপারেও মতবাদ ব্যক্ত করেন সিইও ইয়ান ক্রিচটন। ইদানিংকালে শক্তিশালী শিল্প সংযোগসহ ইন্টার্নশিপের সুযোগ রয়েছে এবং কর্মজীবনে বিশেষ সুবিধা রয়েছে এমন প্রোগ্রামগুলোতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বেশি ঝুঁকছে। বর্তমানে ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রোগ্রামে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে এবং একইসাথে কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্য বিজ্ঞান, আইন, নবায়নযোগ্য শক্তি, বিপণন এবং উদ্যোক্তা সম্পর্কিত কোর্সগুলোর প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ছে। তাই, শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষা এবং ভবিষ্যতের দক্ষতা অর্জনে ইউকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।
স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ান ক্রিচটন বলেন, “ইউকে-এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চ মানের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে সকলের নিকট সমাদৃত। শত বছরে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিশ্বমানের নানামুখী গবেষণার মাধ্যমে ইউকে আজ অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা সকলের সামনে তুলে আনতে পেরেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করছি যে বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী ব্রিটেনে তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত হবে। তবে আমি মনে করি অনেকে এই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার ওয়ান প্রোগ্রাম সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নয়। স্টাডি গ্রুপের এই প্রোগ্রামগুলো আমাদের অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা স্নাতক ডিগ্রিতে প্রবেশের পাশাপাশি ভাষার দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা পেয়ে থাকে। এর ফলে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা দুই বছরের মধ্যে তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। আমরা এই বছর বেশ কয়েকটি নতুন আন্তর্জাতিক বর্ষ ওয়ান প্রোগ্রাম চালু করতে পেরে আনন্দিত।”
সাধারণত, ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার ওয়ান প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের নিজ দেশে উচ্চ-স্তরের যোগ্যতা থাকলেও যুক্তরাজ্যের আবেদনের প্রয়োজনীয় যোগ্যতার সাথে এটিকে বিবেচনা করা হবে না। বিভিন্ন শিক্ষাগত সহায়তার সাথে ছোট আকারের শ্রেণিতে এক বছরের অধ্যয়ন করে শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বাচিত প্রোগ্রামের জন্য দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ হবে। গত বছর, স্কটল্যান্ডে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার ওয়ান বা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার টু প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা স্টাডি গ্রুপের ৯৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী তাদের নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
ইউকে-তে ইউনিভার্সিটি অফ হাডার্সফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টারে পড়ার অনুপ্রেরণা বাংলাদেশী ছাত্রী সানজিদা প্রাচী-এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিলো। তিনি বলেন, “ইউকে-তে আমি হসপিটালিটি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়তে চেয়েছিলাম কারণ, আমি মনে করি আমি সেখানে আরও বেশি জানতে ও শিখতে পারবো। ব্রিটিশ ডিগ্রি নিয়ে আপনি যখন একটি চাকরির জন্য আবেদন করতে যাবেন, তারা মনে করে যে আপনি সবকিছুতে ভালো এবং সেখানে আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টার একটি শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক ও উপস্থাপনা দক্ষতা বাড়ানোর সাথে সাথে উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সাহায্য করে যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”
স্টাডি গ্রুপের একাডেমিক কর্মীদের সাথে ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে আন্তর্জাতিক স্টাডি সেন্টারে শিক্ষাদান কর্মসূচীর তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত রয়েছেন প্রভোস্ট ও প্রধান একাডেমিক অফিসার প্রফেসর এলেনা রদ্রিগেজ-ফ্যালকন। তিনি বলেন, “আমাদের অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে অধ্যয়ন ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি প্রস্তুতিমূলক কোর্স হলো এই ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার ওয়ান প্রোগ্রামগুলো। তারা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক ডিগ্রির প্রথম বর্ষের সমতুল্য জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করে। একটি শিক্ষার্থী এমন অবস্থায় যাতে তার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে না ফেলে সেজন্য আমাদের কর্মীরা প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস এবং সুস্থতার প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল ও বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখেন।”
ইউকে-এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি লেভেল স্টাডিতে সফল হওয়ার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের যথাযোগ্য যোগ্যতা এবং নিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন ইয়ান ক্রিচটন। বিশ্বব্যাপী প্রতিভাকে একত্রিত করে বিভিন্ন সুযোগ বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। স্টাডি গ্রুপের কাজ হলো এই প্রয়াসকে সমর্থন করে শিক্ষার্থীদের সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা এবং উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অধ্যয়ন, ভাষার দক্ষতা এবং একাডেমিক সক্ষমতা নিশ্চিত করা।